শিশুর মাথা সর্বদা ঢেকে রাখা উচিত, কারণ যদি মাথার তাপমাত্রা কম থাকে তাহলে এর প্রভাব গোটা শরীরে পড়ে। তাই, শিশুকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে টুপি পরান বা কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। এছাড়াও খেয়াল রাখবেন যে, শিশুর টুপিটি যাতে খুব টাইট না হয় এবং নরম কাপড়ের হয়। আমাদের দেহের সমস্ত অঙ্গের মধ্যে নাক একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া এবং ক্ষতিকারক ধোঁয়া, ইত্যাদি শিশুর নাক দিয়েই শরীরে প্রবেশ করে। তাই শিশুর নাক সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর জন্য শিশুর নাক ঢাকতে হবে না, তাহলে শ্বাস নিতে সমস্যা হবে। বরং মাঝে মাঝে শিশুর নাকে আপনার উষ্ণ হাত দিতে পারেন বা হালকা গরম তেল দিয়ে মালিশ করতে পারেন। ঘরের তাপমাত্রা যাতে খুব কম না থাকে সেদিকেও নজর দিতে পারেন।আমাদের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে নীচের অর্থাৎ পায়ের দিকটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদিও শিশুরা বেশিরভাগ সময় বিছানায় শুয়ে থাকে, মাটিতে পা রাখে না, তাহলেও তাদের দেহের নীচের দিকে ঠান্ডা লাগতে পারে। তাই, শিশুকে মোজা পরানো বা পায়ের দিকে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা প্রয়োজন। এটি করলে শরীরের পুরো তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শিশুর শরীর উষ্ণ রাখার জন্য তেল দিয়ে ম্যাসাজ করা অত্যন্ত উপকারি। ঠান্ডা আবহাওয়ায় শিশুর দেহ মালিশ করার জন্য সরিষার তেল সবচেয়ে সেরা। আপনার বাচ্চার যদি ঠান্ডা লাগার লক্ষণ থাকে তবে সরিষার তেলে জোয়ান এবং রসুন কুচি দিয়ে গরম করে সেই তেলটি ম্যাসাজ করতে পারেন। দিনে কমপক্ষে এক বার ম্যাসাজ করা প্রয়োজন। এর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হল শিশুকে রোদে নিয়ে গিয়ে সমস্ত কাপড় খুলে মালিশ করা, যাতে তার ঠান্ডাও না লাগে এবং ভালভাবে মালিশও হয়ে যায়। ঠান্ডা আবহাওয়ায়, মাঝে মাঝে শিশুর হাতও ঠান্ডা হয়ে যায়। তাই শিশুর হাতে নরম গ্লাভস পরান এবং ফুল হাতা পোশাক পরান তাকে। তবে রাতে ঘুমানোর সময় শিশুর শরীর কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখবেন। সেই সময় গ্লাভস পরাবেন না, অন্যথায় শিশুর ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
No comments:
Post a Comment