আমাদের গোপনাঙ্গের লোম তোলার বিষয়টি একটি খুবই গোপন বিষয় বলে অনেকেই এই ব্যাপারে উপদেশ নিতে লজ্জা পায়। আমরা এখানে অবাঞ্ছিত লোম দূর করার কিছু শ্রেষ্ঠ উপায় আলোচনা করব যেগুলি জানার পর আপনার আর বাইরের লোকের উপদেশ নেওয়ার প্রয়োজন হবেনা।
গোপনাঙ্গ সেভ করা
যদিও গোপনাঙ্গের চুল তোলার নিত্য নতুন উপায় বেরোচ্ছে তাও সেভিং (shaving) এখনো সবচেয়ে প্রচলিত ও জনপ্রিয় উপায়। যদিও লোকে নিরাপদ এবং সরল রেজারই (razor) ব্যবহার করে থাকে কিন্তু ইলেকট্রিক (electric) রেজার হল সবচেয়ে ভালো যা এই অঙ্গের চুল তোলার জন্যই ডিজাইন (design) করা হয়েছে।
সেভিং-এর উপকার
নিরাপদ এবং সরল রেজার খুব বেশি দামী হয়না। ইলেকট্রিক রেজার একটু দামী হয় কিন্তু একবার কিনলে অনেকদিনের জন্য চলে।রেজার অন্যান্য উপায়ের তুলনায় অনেক দ্রুত কাজ করে।রেজার ব্যবহার করার পদ্ধতি অনেক সহজ।সাবধানে করলে এই উপায় কোনো ব্যথা হয়না।
সেভিং-এর অপকার
চুল সেভ করলে আবার খুব তাড়াতাড়ি চুল হয়ে যায় তাই বার বার সেভ করতে হয়।সেভিং করার পর ত্বকে চুলকানি ও অস্বস্তিভাব অনুভব হয়।অসাবধান হলে কেটে যাওয়ার ভয় থাকে।
সেনসিটিভ (sensitive) ত্বকে অনেক সময় সহ্য হয়না এবং গোটা বেরিয়ে লাল হয়ে যায়।
গোপনাঙ্গে ওয়াক্সিং করা
অবাঞ্ছিত চুল দূর করার আরেকটি জনপ্রিয় উপায় হলো ওয়াক্সিং। তিনটি প্রচলিত ওয়াক্সিং হল বিকিনি ওয়াক্সিং , ব্রাজিলিয়ান ওয়াক্সিং এবং হলিউড ওয়াক্সিং বিকিনি ওয়াক্সিং-এ বিকিনি লাইনের চুল তুলে ফেলা হয় কিন্তু যোনি অংশের (vagina) চুল একইরকম থাকে। তাই বেশিরভাগ মহিলাই বিকিনি ওয়াক্সের থেকে ব্রাজিলিয়ান ওয়াক্স বেশি পছন্দ করে।১৯৮০ সালে যখন বিকিনি পরার ফ্যাশন (fashion) শুরু হয় তখন থেকে ব্রাজিলিয়ান ওয়াক্স খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই ওয়াক্স আপনার গোপনাঙ্গের সব চুল পরিষ্কার করে শুধুমাত্র একটি ছোট অংশ বাদে যাকে বলা হয় ‘ল্যান্ডিং স্ট্রিপ’। এই স্ট্রিপ আপনি যেইরকম আকারের চান সেইরকমই রাখা হবে।
ওয়াক্সিং এর সুবিধা
এটি আপনার গোপনাঙ্গের সব চুল দূর করে।এর ফল ২০-৪০ দিন অবধি অর্থাত অনেক লম্বা সময়ের জন্য থাকে।নতুন চুল উঠলেও তা কোমল হয়।এটি সেভিং-এর মত সস্তা না কিন্তু যেহেতু এটি অনেকদিন পর্যন্ত থাকে তাই খরচা সব মিলিয়ে একই পরে। এছাড়া এই পদ্ধতি লেসার বা ইলেকট্রোলাইসিসের মত পদ্ধতির থেকে অনেক সস্তা।
ওয়াক্সিং এর অসুবিধা
ওয়াক্সিং করার সময় খুব ব্যথা লাগে যদিও খুব অল্প সময়ের জন্য তা থাকে।সেনসিটিভ ত্বকের জন্য এটি ক্ষতিকর।এই পদ্ধতি পুনরায় করার জন্য ১/৪ ভাগ অংশে চুল হওয়া দরকার।চুলকানি বা জ্বালা করতে পারে যার থেকে ইনফেকশন (infection) হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।যৌনাঙ্গ খুবই কোমল হয় আর তাই সহজেই ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।যাদের চুলকানি বা হাজা হওয়ার সমস্যা আছে তাদের জন্য ওয়াক্সিং ক্ষতিকর যেহেতু ওয়াক্সিং করলে ওইসব সমস্যা আরো বাড়তে পারে।যেসকল মহিলাদের ডায়াবেটিসের (diebetes) সমস্যা আছে বা যারা গর্ভবতী (pregnant) এবং যারা গর্ভনিরোধক ওষুধ খান তাদের ওয়াক্সিং করার আগে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
No comments:
Post a Comment